অবশেষে জয়ের দেখা পেলো বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের গ্রান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে দুই উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই জয়ের স্বাদ পেলো টাইগাররা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম খেলায় তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে ১২৪ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ। ফলে জেতার জন্য টাইগারদের প্রয়োজন পড়ে ১২৫ রান। টি-টোয়েন্টির হিসাবে যা খুব একটা বেশি নয়।

তবে ব্যাটিং-এর শুরুতেই বরাবরের মতই নার্ভাস বাংলাদেশ একে একে হারায় তানজিদ, সৌম্য আর শান্তর উইকেট। এদের মধ্যে সৌম্য শূণ্য রানে আর অধিনায়ক শান্ত মাত্র ৭ রানে আউট হয়।

পরে লিটন দাস আর তৌহিদ হৃদয়ের এক বিস্ফোরক জুটিই পাল্টে দেয় খেলার মোড়। ২০ বলে ৪০ রান করে একাই খেলার চেহারা পাল্টে দেন হৃদয়। এলবিডাব্লিউ হয়ে আউট হবার আগের তিনটি বলেই তিনি ছক্কা হাঁকিয়ে তাক লাগিয়ে দেন।

কিন্তু হৃদয়ের আউট হবার পরে আবারো প্রকাশ পেয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং-এর দৈন্যতা। একে একে আউট হন লিটন দাস আর সাকিব আল হাসান। আজ বল হাতে ব্যর্থ হবার পরে ১৪ বল খেলে মাত্র ৮ রান করেই তিনি সাজঘরে ফিরে যান।

কিন্তু হৃদয় আর লিটন দাসের অনবদ্য ইনিংসের পরে রানের লক্ষ্য এতই কমে যায় যে তারপর আর খুব কষ্ট না করে হারা সম্ভব ছিলো না টিম বাংলাদেশের পক্ষে। ভুল শট খেলে একে একে রিশাদ আর তাসকিন আউট হবার পরে ভরসার আধার হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ। যখন ১১ বলে ১০ রান দরকার তখন একটি চমৎকার ছয় মেরে মাহমুদুল্লাহ খেলাটাকে দ্রুত সমাপ্তির দিকে নেবার ইঙ্গিত দেন। অবশেষে এক ওভার হাতে রেখেই খেলা শেষ করেন মাহমুদুল্লাহ।

এর আগে সকালে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৪ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।

আগে ব্যাট করতে নামা লঙ্কানদের শুরুটা হয়েছে মিশ্র। দলীয় ২১ রানে তাসকিন আহমেদের শিকার হন ওপেনার কুশাল মেন্ডিস। ১০ রান করেন তিনি। এরপর রীতিমতো ঝড় তোলেন আরেক ওপেনার পাথুন নিশাঙ্কা। তার ঝড়ো ব্যাটে ৫ ওভারে ৪৮ রান উঠে।

ষষ্ঠ ওভারে এসে কামিন্দু মেন্ডিসকে ফেরান মোস্তাফিজুর। ৭০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় লঙ্কানরা। ২৮ বলে ৪৭ রান করা নিশাঙ্কাকে ফেরান মোস্তাফিজ। এরপর ধস নামে লঙ্কান ইনিংসে। তার কৃতিত্ব রিশাদ হোসেনের। টানা তিন উইকেট তুলে নেন এই স্পিনার।

আর শেষদিকে নিয়ন্ত্রিত বল করে লঙ্কানদের ছোট রানে বেধে রাখার কৃতিত্ব দেখায় বাংলাদেশের তাসকিন ও মোস্তাফিজ। লঙ্কানদের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করেন ধনঞ্জয়া। আসালাঙ্কার ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান।

তাসকিন ৪ ওভারে ২৫ রানে দুই উইকেট, মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ১৭ রানে এবং রিশাদ ২২ রানে ৩ উইকেট নেন।